Saturday, May 12, 2012

টিনিফরেক্স স্কুল


টিনিফরেক্স স্কুলে আপনাকে স্বাগতম। আমরা আপনাকে ফরেক্স শেখানো শুরু করবো একেবারে প্রথম থেকে। এবং ফরেক্স এত বিশাল একটি ক্ষেত্র যে কোনদিনই আপনার ফরেক্স শেখা শেষ হবেনা। মার্কেট সমসময়ই পরিবর্তন হয় এবং আমরা সবসময়ই নতুন নতুন জিনিস শিখব। তাই আমরা নিয়ে এসেছি টিনিফরেক্স স্কুল। এই স্কুলটি কখনই সম্পূর্ণ নয়। প্রতিনিয়ত টিনিফরেক্স স্কুল আপগ্রেড করা হবে।

ফরেক্স শেখাটা নতুনদের জন্য খুব একটা সহজ নয়।

ভয় দেখানোর জন্য নয়। যারা দীর্ঘদিন ধরে ফরেক্স ট্রেড করে আসছে তারা কিন্তু সত্যিকার অর্থেই তা মনে করে।

আর তাই এই কঠিন কাজটা কে সহজ করতেই এসেছে বিডিপিপস বাংলা ফরেক্স স্কুল।

সমস্ত স্কুলটাকেই সাজানো হয়েছে প্রয়োজনীয় সকল বিষয় ও অসংখ্য মজাদার কৌতুক দিয়ে যা আপনার ভাল না লাগলেই নয়। এটা আপনার ফরেক্স শেখার ইচ্ছা তো মেটাবেই, উপরুন্ত আনন্দও দিবে। একদমই বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন শুরু করা যাক !

আমাদের এই স্কুলটিকে এমনভাবে সাজান হয়েছে যাতে তা আপনাকে ফরেক্স বিষয়ে একজন জ্ঞান সম্পন্ন ও দক্ষ ট্রেডার এবং ফরেক্স মার্কেটে আপনাকে একজন সফল ফরেক্স ট্রেডার হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

ফরেক্স শেখা হবে আপনার জন্য অনন্য একটি অভিজ্ঞতা। তখন আর আপনি দেশের গণ্ডির মধ্যে থাকবেন না। আপনাকে আমেরিকা, ইউরোপের বড় বড় অর্থনৈতিক নিউজগুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে। ফরেক্স ট্রেডার হিসেবে বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া বড় অর্থনৈতিক ঘটনাগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। পরবর্তী দিন পত্রিকায় নিউজটি দেখে আপনি নিজেই ভাববেন যে এটা তো আপনি গতকাল ঘটার সাথে সাথেই জেনে গেছেন। ফরেক্স শেখা শুরু করার ১ মাস পরেই যে আপনি অনেক বেশী প্রফিট করা শুরু করে দিবেন এরকম চিন্তা থেকে বিরত থাকুন। ধাপে ধাপে আপনার প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আপনি শিখবেন।

একজন সফল ট্রেডার এর গুণাবলী তিনটিঃ

Make Pips (পিপস বানানো)
Keep Pips (সেটাকে ধরে রাখা)
Repeat (বার বার পুনরাবৃত্তি করা)
পিপস কি তা আমরা পরে আপনাকে বিডিপিপস ফরেক্স স্কুলে জানাবো। যদি আপনি এই তিনটি কাজ বার বার করতে পারেন, একজন ফরেক্স সুপারস্টার হওয়ার পথে আপনি ঠিক রাস্তাতেই আছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, কাজটা মোটেই সহজ নয়!


ফরেক্স ট্রেডিং সহজ নয়, কিন্তু প্রচুর পড়াশোনা ও কঠোর পরিশ্রম এর মাধ্যমে আপনিও একজন সফল ফরেক্স ট্রেডার হতে পারবেন। মনে রাখবেন ফরেক্সে যে সফল, তার কাছে আর যাই হোক, অর্থ কোনোদিন সমস্যা নয়।

মিথ্যা আশা দেখাচ্ছি? নিঃসন্দেহে এটা সত্যি। তবে, সেই যে আগেই বলেছি, ফরেক্স ট্রেডিং সহজ নয়। এটা যতই সহজ মনে হোক না কেন ... কখনও মনে করবেন না যে ফরেক্স ট্রেডিং জুয়ার মত, বাই বা সেল করবো, কিছু একটা তো হবেই। যদি এরকম ভাবেন, তবে আপনার উচিত এখনই ফরেক্সকে বিদায় জানানো।

আপনি কি মনে করেন ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে এবং তা কাজে লাগিয়ে একজন সফল ফরেক্স ট্রেডার হওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব?

যদি উত্তর হয় হ্যা, তাহলে এক্ষুনি যাত্রা শুরু করুন টিনিফরেক্স স্কুলে!


অনেকেই আপনাকে ফরেক্সে ১০০% লাভের নিশ্চয়তা দেখাবে এবং সিগন্যালের কথা বলবে। কিন্তু আপনাকে ট্রেড করতে হবে নিজের বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে। তাহলে শুরু করা যাক আমাদের যাত্রা। আপনাদের ভাল না লাগলেই নয়। শীঘ্রই বিডিপিপস ফরেক্স স্কুলে আরও নতুন নতুন কনটেন্ট যোগ করা হবে।

সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স


আপনি যদি সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স বুঝতে পারেন তবে আপনি বুঝতে পারবেন ফরেক্স মার্কেট কিভাবে কাজ করে।
এই পদ্ধতি আপনাকে সঠিক সময়ে ট্রেড খুলতে এবং ঠিক সময়ে ট্রেড থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে আপনাকে সাহায্য করবে।
বিভিন্নভাবে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল বের করা যায়।

যখন মার্কেট সাপোর্ট লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, সাধারণত প্রাইস আরও কমে যায় এবং পরবর্তী রেসিসটেন্স লেভেল তখন সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।
আবার যখন মার্কেট রেসিসটেন্স লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, সাধারণত প্রাইস আরও বেড়ে যায় এবং পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল তখন রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে।
তাই সাপোর্ট ব্রেক করলে সেল করা উচিত এবং রেসিসটেন্স ব্রেক করলে বাই করা উচিত।



উপরের ছবিটি দেখুন। এখানে একটি জিগজ্যাগ প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে।
ধরুন মার্কেট আপট্রেন্ডে রয়েছে। এখানে মার্কেট সর্বোচ্চ বাড়ার পর যে প্রাইসে আবার তা কমে যেতে শুরু করে সেটাই রেসিসটেন্স।
অর্থাৎ, বেড়ে যাওয়ার পর সর্বোচ্চ পয়েন্টটিই হল রেসিসটেন্স লেভেল।
আবার কমে সর্বনিম্ন যত নিচে যায়, সেই পয়েন্টটি হল সাপোর্ট লেভেল।
মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে থাকলেও একইরকম।


সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স নির্ধারণ

একটি বিষয় মনে রাখবেন যে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স কখনও কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়। এটি এক ধরনের লেভেল বা এরিয়া।
অনেক সময় চার্ট দেখে মনে হয় যে মার্কেট সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স ব্রেক করেছে কিন্তু কিছুক্ষণ পর বোঝা যায় যে মার্কেট আসলে সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স ব্রেক হয়নি, মার্কেট শুধুমাত্র টেস্ট করেছে।
ক্যানডেলস্টিক চার্টে এই মার্কেট টেস্টসমূহকে এভাবে দেখান যেতে পারেঃ




চার্টটি দেখুন। দেখা যাচ্ছে মার্কেট ২ বার ১.৪৭০০ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করেছে।
কিন্তু মার্কেট সাথে সাথেই আবার ওপরে উঠে গেছে অর্থাৎ সাপোর্ট লেভেল আসলে ভাঙ্গেনি।
মার্কেট শুধুমাত্র টেস্ট করেছে।


তাহলে কিভাবে বুঝবেন যে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল সত্যিই ব্রেক হয়েছে?

এই প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর নেই।
তবে কেউ কেউ বলে প্রাইস যদি আগের লেভেলে ক্লোজ হয় তবেই সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স ব্রেক হয়েছে বোঝা যায়।
কিন্তু এটা যে সবসময় হয় তা নয়।

নিচের চার্টটি দেখুন। প্রাইস ১.৪৭০০ এর অনেক নিচে গিয়েছে। কিন্তু পরে আবার বেড়ে গিয়েছে।



কিন্তু সাপোর্টটি আসলে ব্রেক হয়নি। এটি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে এবং অনেক শক্তিশালী। এখন যদি আপনি আপনার বাই ট্রেড ক্লোজ করে সেল ট্রেড দিতেন, হয়ত আপনি লসের সম্মুক্ষীণ হতেন।

আপনি যদি প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করেন তবে আপনি সহজেই সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স নির্ধারণ করতে পারবেন।


সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য


  • যখন মার্কেট রেসিসটেন্স লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল তখন রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে। আবার যখন মার্কেট সাপোর্ট লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, পরবর্তী রেসিসটেন্স লেভেল তখন সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে
  • মার্কেট সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল যত বেশি টেস্ট করে, ঐ সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স তত বেশি শক্তিশালী হয়।






ট্রেন্ড লাইন


টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি টুলস হল ট্রেন্ড লাইন। ট্রেন্ড লাইন সহজেই বোঝা যায়। ট্রেন্ড লাইন যদি সঠিকভাবে আকা যায় তবে তা অন্য যেকোনো মেথড থেকে ভাল ফলাফল দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ট্রেডার সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে পারে না এবং জোর করে ট্রেন্ড লাইন আকে জার ফলে তা কার্যকর হয় না।

ট্রেন্ড লাইন আঁকার জন্য মেটা ট্রেডার এর টুলস থেকে ট্রেন্ড লাইন টুল দিয়ে লাইন টানতে হয়।

লো পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয় এবং হাই পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয়।

যদি কোন ক্যানডেল ট্রেন্ড লাইন ক্রস করে ওপরে বা নিচে চলে যায়, তখন বুঝতে হবে ট্রেন্ড লাইন ব্রেক হয়েছে।

নিচের চার্টটি ফলো করুনঃ



ট্রেন্ড ৩ রকমঃ


  • আপট্রেন্ড (higher lows)
  • ডাউনট্রেন্ড (lower high)
  • সাইডওয়ে ট্রেন্ড (ranging)

আপট্রেন্ডে মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তাই আপনি বাই করতে পারবেন। ডাউনট্রেন্ডে মার্কেট নিম্নমুখী থাকে। তাই আপনি সেল করতে পারবেন। সাইডওয়ে ট্রেন্ডে মার্কেট একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘুরতে থাকে। তাই সাইডওয়ে ট্রেন্ডে ট্রেড না করাই ভাল।



ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ

অন্তত ২টি টপ (top) অথবা বটম (bottom) পয়েন্ট সংযুক্ত করে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয়। তবে ৩টি পয়েন্ট হলে ট্রেন্ড লাইন কনফার্ম হয়।
সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লাইনের মত যতই প্রাইস ট্রেন্ড লাইনগুলোকে টেস্ট করবে, ট্রেন্ড লাইনগুলো তত শক্তিশালী হবে।
জোর করে ট্রেন্ড লাইন আঁকার চেষ্টা করবেন না যদি। সেক্ষেত্রে তা ভ্যালিড ট্রেন্ড লাইন হবে না।

চ্যানেল


আমরা এখানে চ্যানেল আই, বিটিভি কিংবা কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করব না। আমরা যদি ট্রেন্ড লাইন থিওরিকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই এবং আপট্রেন্ড বা ডাউনট্রেন্ড লাইনের সাথে একই দিকে সমান্তরাল ভাবে আরেকটি লাইন আঁকি, তবে একটি চ্যানেল তৈরি হবে।

চ্যানেল হল টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের আরেকটি টুলস যা বাই বা সেল করার জন্য ভাল প্রাইস নির্ধারণ করতে আমাদের সাহায্য করে।



ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য আপট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক বটম পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।

নিম্নমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য ডাউনট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক টপ পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।

যখন প্রাইস নিচের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করবে, তখন আপনি বাই করতে পারেন। আর যদি প্রাইস ওপরের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করে তবে আপনি সেল করতে পারেন।

চ্যানেল ৩ প্রকারঃ


  • ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল (higher highs and higher lows)
  • নিম্নমুখী চ্যানেল (lower highers and lower lows)
  • সমান্তরাল বা সাইডওয়ে চ্যানেল (ranging)

চ্যানেল সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ

  • চ্যানেল আঁকার সময়, দুটি ট্রেন্ড লাইনই সমান্তরাল হতে হবে।
  • চ্যানেলের নিচের অংশটি বাই জোন এবং ওপরের অংশটি সেল জোন হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • ট্রেন্ড লাইন আঁকার মত চ্যানেল আঁকার সময়েও জোর করে চ্যানেল আঁকার চেষ্টা করবেন না। তাহলে তা ভুল ট্রেডের নির্দেশনা দিতে পারে।